মহাজাগতিক ঘুড্ডির গল্প

“গোওওওওল… গোওওওল… গোওওওল… আমি কাঁদতে চাই… হায় খোদা… ফুটবলের জয় হোক… গোলাজো… দিয়েগোওওওল… মারাদোনা… কেঁদে ফেলার অবস্থা, আমাকে মাফ করুন… অবিস্মরণীয় দৌড় দিয়ে মারাদোনা সর্বকালের অন্যতম সেরা খেল দেখালেন… মহাজাগতিক ঘুড্ডি… কোন গ্রহ থেকে তুমি নেমে এসেছিলে এভাবে ইংরেজদের পথ রুখে দেয়ার জন্যে? পুরো দেশ যেন এক বজ্রমুষ্টি, আর্জেন্টিনার জন্যে চিৎকার করছে… আর্জেন্টিনা ২ ইংল্যান্ড ০… দিয়েগোল দিয়েগোল… দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা…ঈশ্বর তোমাকে ধন্যবাদ… ফুটবলের জন্যে, মারাদোনার জন্যে, আমার এই অশ্রুগুলোর জন্যে… আর্জেন্টিনা ২ ইংল্যান্ড ০”

২২ জুন ১৯৮৬।

ইতিহাসের সেরা গোলই শুধু দিলেন না মারাদোনা, ধারাভাষ্যকার ভিক্তর হুগো মোরালেস-ও তার কমেন্ট্রি দিয়ে এক ধরনের ইতিহাস সৃষ্টি করলেন। ‘বারিলেতে কস্মিকো, দে কে প্লানেতা ভিনিস্তে?’ – ‘মহাজাগতিক ঘুড্ডি, তুমি কোন গ্রহ থেকে নেমে এসেছিলে?’ লাইনটি বিখ্যাত হয়ে গেল, মারাদোনার সেই গোলের নামই হয়ে গেল ‘মহাজাগতিক ঘুড্ডি’। এখনও পোস্টার, টি-শার্ট তৈরী হয় তার কমেন্ট্রি সহ, ‘বারিলেতে কস্মিকো’ বললে আর দ্বিতীয়বার বুঝিয়ে বলা লাগে না। (পুরো কমেন্ট্রি নীচের লিংকে।)

২৮ বছর পর মারাদোনা আর হুগো মোরালেস আবার এক হয়েছেন। বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ‘তেলে সুর’ টিভি চ্যানেলের জন্যে একটি নিয়মিত অনুষ্ঠান করছেন। (‘তেলে সুর’ চ্যানেল স্থাপিত হয়েছিল ভেনেজুয়েলার প্রয়াত নেতা হুগো চাভেজের উদ্যোগে, কাস্ত্রোর মত চাভেজও মারাদোনার বন্ধু ছিলেন।) অনুষ্ঠানে থাকছে বিশ্লেষণ, আড্ডা, কারেকা, বেবেতো, জামোরানো’র মত অতীতের স্টারদের সাথে সাক্ষাতকার।

আর অনুষ্ঠানের নাম? De Zurda – বাঁ পা থেকে।

barrilete cosmico2

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান